1. info@www.hilsatv.online : হিলশা টিভি :
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শিক্ষার্থী নির্যাতনকারী ছাত্রলীগ নেতা এখন ফেসবুক ছাত্রশিবির কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থিয়েটারের ইফতার ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত কচুয়ার দারাশাহী তুলপাই বাজারে টপ পয়েন্ট শপিংয়ের উদ্বোধন ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের নতুন কমিটি: নেতৃত্বে সাব্বির ও অনিক ফিনিক্স ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের নতুন এমডি ও সিইও কচুয়ার মামুন মোল্লা কুমিল্লা মহানগর ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলন ৬ ঘণ্টার পিঠার দোকানের ভাড়া ৪ হাজার রাতের মাঝেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, প্রশংসায় ভাসছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন যুবদল নেতা হুসাইন জাকির

শিক্ষার্থী নির্যাতনকারী ছাত্রলীগ নেতা এখন ফেসবুক ছাত্রশিবির

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এমদাদুল হক ইমন (২৮) এখন ফেসবুক ছাত্রশিবির। দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর প্রতিদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করছেন ইসলামী ছাত্রশিবির ও জামায়াতে ইসলামির সমসাময়িক আন্দোলেনের ছবি-ভিডিও ও সংবাদ। এতে শিক্ষার্থীদে মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা এমদাদুল হক ইমন কে নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। ইমনের এমন কান্ডে হতবাক তার হাতে নির্যাতিত অনেক শিক্ষার্থী। জানা যায়, আওয়ামী শাসনামলের সময় বিভিন্ন সময়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে ইভটিজিং, হল দখল, ক্যান্টিন বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি ও টর্চার সেলে শিক্ষার্থী নির্যাতনের যত অপকর্ম ঘটেছে তার বেশিরভাগ ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নেতৃত্ব দিয়েছেন স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা এমদাদুল হক ইমন।

তার হাতে নির্যাতনের ঘটনার লোমহর্ষক বর্ননা দিতে গিয়ে কুমিল্লা বাখরাবাদ এলাকার বাসিন্দা পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, এখনও চোখ বন্ধ করলে সেই ভয়ংকর স্মৃতি আমাকে মানসিক পীড়া দেয়। ডিপার্টমেন্টের ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ করে আমরা ৬-৭ জন বন্ধু বাড়ি ফিরছিলাম। তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে ইমন ও তার গ্যাং এর অন্যতম সদস্য জুম্মানের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হই। ২৫ -৩০জন ছাত্রলীগের নেতা দেশীয় অস্ত্র হাতে আমাদেরকে বিজ্ঞান ভবন-২ এর একটি কক্ষে নিয়ে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি ও লাথি মারতে মারতে আহত করে। এক পর্যায়ে ইমন আমাদেরকে সুইচ গিয়ার দিয়ে আঘাত করে। এতে আমার বন্ধু আশিক, রবিউল, খালেদ, সজিবসহ আরও অনেকেই প্রচন্ড আহত হয়। তখন পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান প্রফেসর আমিনুল ইসলাম স্যার পুরো ঘটনা জেনেও ইমনের রাজনৈতিক পরিচয়ের ভয়ে কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে পারেনি।

তার হাতে নির্যাতিত ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, গত বছর কুমিল্লার সাবেক এমপি আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহারের জনসমাবেশের মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য আমাকে নির্দেশ দেয়। আমি অসুস্থ ছিলাম তাই যেতে অপারগতা প্রকাশ করলে আমাকে ধর্মপুরের মেস থেকে মারধর করে টেনে হিছড়ে টাউন হলের ওই সমাবেশে নিয়ে যায়। কলেজের পাশেই ছায়াবিতান বাড়ি হওয়ায় তার সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলার কেউ সাহস পায় না।

ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের আরেক শিক্ষার্থী কামরুল হাসান (ছদ্মনাম) জানান, কলেজ ছাত্রলীগের এক ছোটভাইয়ের সাথে সামান্য কথা-কাটাকাটি হলে, দিনের বেলায় ইমন ও তার গ্যাংরা আমাকে কলা ভবনের সামনে মারধর করে ভেবেছিলাম বিষয়টি এখানেই শেষ কিন্তু রাতে ছাত্রলীগ নেতা ইমন অস্ত্র হাতে আবার আমার মেসে হামলা করে। সেদিন রাতে আল্লাহ অশেষ সহযোগিতায় আমি প্রাণে বেঁচে যাই ও পরদিন মেস ছেড়ে দেই।

কলেজের টেন্ডারবাজিতেও এমদাদুল হক ইমন ছিলেন আতঙ্কের নাম। ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতারা পুকুর, লাইব্রেরি, ক্যান্টিন, অবকাঠামোগত উন্নয়নের টেন্ডার নিলেও কলেজ অডিটোরিয়াম (বর্তমান জিয়া অডিটোরিয়াম) ছিলো ইমনের আয়ের উৎস। অডিটোরিয়ামে বিদায়, বরণ অথবা যে কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হলে তার নিজস্ব লোকদের দিয়ে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, সাউন্ড সিস্টেম ও খাবার প্যাকেট ব্যবস্থা করতে হতো। অন্যথায় অনুষ্ঠান বন্ধসহ আয়োজক কমিটিকে মারধরের হুমকি দেওয়া হতো। এতে যেকোন আয়োজনের খরচ দ্বিগুন হয়ে যেতো যা শিক্ষার্থীদের পরিশোধ করতে হিমশিম খেতে হতো।

শুধু তাই নয় নিজেদের মধ্যে অন্তর্কোন্দলে ইতিহাস বিভাগের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান শুভকে ২০২২ সালের ২১জুন কলেজ শিক্ষকদের সামনে প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধরের ঘটনায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয় ছাত্রলীগ নেতা ইমন। পরবর্তীতে শুভ ও তার পরিবার ৩০ জনকে আসামী করে কোতোয়ালি থানার একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার বেশিরভাগ আসামী দেশ পলাতক হলেও ৫ আগস্টের পর ইমন স্থানীয় জামায়াত নেতাদের সাথে সম্পর্ক তৈরীর চেষ্টা করছেন। কলেজে নতুন করে আধিপত্য ধরে রাখতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন।

এ ঘটনায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের কুমিল্লা মহানগরীর সভাপতি হাসান আহমেদ বলেন, ছাত্রশিবিরের সাথে শিক্ষার্থী নির্যাতনকারী ছাত্রলীগ নেতা এমদাদুল হক ইমনের ন্যূনতম সংশ্লিষ্টতা নেই। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সময়ে যারা শিক্ষার্থীদের উপর বিভিন্ন সময় জুলুম-নির্যাতন করেছে, তাদেরকে নির্যাতনের শিকার মজলুম শিক্ষার্থী ছাড়া আর কেউ ক্ষমা করার অধিকার রাখে না। তাদের অপকর্ম জনসম্মুখে এনে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এসব অভিযোগের বিষয়ে এমদাদুল হক ইমন বলেন, আগে ছাত্রলীগ করেছি। সরকার পরিবর্তনের পূর্বেই আমি ছাত্রলীগ ছেড়ে দিয়েছি। অতীতে অনেকের সাথে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি। বর্তমানে ফেসবুকে জামাত শিবিরের পোস্ট ভালো লাগে তাই শেয়ার দেই। কিন্তু আমি তাদের কোন পদ পদবীতে নেই। আমাকে নাজমুল হাসান শুভের উপর হামলার ঘটনায় মিথ্যাভাবে নাম দিয়ে ওরাই আবার পরে মামলা থেকে আমার নাম বাদ দেয়। কলেজ ক্যাম্পাসে আমার কোন পোস্টার ব্যানার কখনোই ছিলো না। পরিসংখ্যান বিভাগের ৭ শিক্ষার্থীকে মারধর করেছি ওদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছিলো। এসময় তিনি ওই শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের অন্য গ্রুপের সদস্য ছিলো বলে দাবি করেন।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট